পাবনার সুজানগরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কেন্দ্রে গিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কেন্দ্রে পরপর জোড়া ককটেল নিক্ষেপ করলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার পরে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে সংঘর্ষ ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে এই কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন। কোনো প্রকার সহিংসতার সৃষ্টি হয়নি। তবে বেলা ২টার দিকে নৌকার লোকজন কেন্দ্র দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে প্রাইমারি স্কুলের ছাদের ওপরে দুটি ককটেল বোমা নিক্ষেপ করলে লোকজন দিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকলে অনেক লোক হতাহত হয়।

স্থানীয়দের মধ্যে ইসমাইল মিয়া জানান, ভোট দেওয়ার সময় হঠাৎ বহিরাগতরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অনেকে আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোটের মাঠে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এলাকার ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে।

কাচুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আতাউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছিল। দুপুরের দিকে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করলে এলাকার ভোটারদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশের ফোর্স এনে এলাকা শান্ত করা হয়।

সুজানগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ককটেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে বাহির থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে এসে উভয় পক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আহতদের প্রকৃত সংখ্যা তিনি বলতে পারেননি।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান ভোটকেন্দ্র শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বোমা হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাকিব হাসনাত/এনএ