গাজীপুরের টঙ্গীতে স্ল্যাব ধসে ফুটো হওয়া সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কামারপাড়া সড়কের মুখে ঢাকামুখী লেন বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে গাজীপুর হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করা গাড়িগুলো মন্নুগেট এলাকা ঘুরে কামারপাড়া হয়ে আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ ব্যবহার করে ঢাকায় ঢুকছে। 

অপরদিকে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় ঢাকামুখী লেন বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নরসিংদী থেকে আসা গাড়িগুলো স্টেশন রোড থেকে কামারপাড়া হয়ে ঢাকায় ঢুকছে। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ও গাজীপুরে চলাচল করা যানবাহনগুলো তুরাগ নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ দিয়ে গাজীপুরে প্রবেশ করছে। হঠাৎ করে সেতুটি বন্ধ করে দেওয়ায় অনেকেই না জেনে এই সড়ক ব্যবহার করে ভোগান্তিতে পড়ছেন। 

উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুধবার ভোরে টঙ্গীতে সেতুর স্ল্যাব ধসে পড়ার পর লোহার পাটাতন দিয়ে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল সচল রাখা হয়। পরে বিআরটি কর্তৃপক্ষ সেতুটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে গাজীপুর থেকে যেসব গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করবে সেসব গাড়ি টঙ্গী মিলগেট এলাকা থেকে কামারপাড়া সড়ক হয়ে আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ ব্যবহার করবে। অপরদিকে ঢাকা থেকে গাজীপুরমুখী গাড়িগুলো টঙ্গী বাজার এলাকায় তুরাগ নদীর ওপর স্থাপিত অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ ব্যবহার করবে।

তিনি আরও বলেন, সেতুটি সংস্কার কাজ করতে ৮-১০ দিন সময় লাগবে বলে বিআরটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। হঠাৎ করে সেতু বন্ধ হওয়ায় অনেকেই না জেনে এ পথ ব্যবহার করছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে। আমরা ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে গাজীপুরের যানজট নিরসনে কাজ করছি। 

বিআরটি প্রকল্পের (সেতু বিভাগ) পরিচালক মো. মহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, টঙ্গী সেতুর একটি ডেস্ক স্ল্যাব পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেহেতু এটি একটি ব্যস্ততম মহাসড়ক, তাই গাড়ির চাপ অনেক বেশি। তাই এভাবে সেতুটি ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে। তাই বুধবার রাত ১২টা থেকে সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত স্ল্যাবে নতুন করে আরেকটি স্ল্যাব বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এজন্য ৭-১০ দিন সময় লাগতে পারে।

শিহাব খান/এসপি/জেএস