দেশে গুম-হত্যার রাজনীতি শুরু করেন জিয়া : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর শিশু রাসেলকেও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। রাসেল ছিল পরিবারের মধ্যমণি। বাবা-মা ও ভাই-বোনদের আদরের ধন। জিয়াউর রহমান ওই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের নেপথ্যের গডফাদার।
বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর টাউন হল মিলনায়তনে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান দেশে গুম-হত্যার রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭৫ সালের পর দেশে জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই জয় বাংলা বলতে গিয়ে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবকে গুম করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের নির্দেশে তখন হত্যার রাজনীতি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও শেখ রাসেলের চেতনাকে ধারণ করে বর্তমান প্রজন্মকে জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশকে ভালোবাসতে হবে। দেশের ভাষা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অন্যায়, দুর্নীতি বন্ধে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। পড়ালেখার পাশাপাশি সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা এবং খেলাধুলায় মনোযোগী হওয়া এখন বেশি প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদউল্ল্যা বলেন, খুনিরা ভেবেছিল শেখ রাসেলকে বাঁচিয়ে রাখলে তাদের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে, সে জন্য তাকে নিষ্ঠুরভাবে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরুক করে রাখার জন্য সারাদেশের মতো রংপুর বিভাগে তার জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। বিভাগের ৮ জেলা ও উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এই আয়োজন থেকে আগামীর বাংলাদেশ অনেক মেধাবী শিশু পাবে।
শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন সাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের উপদেষ্টা তরফদার রুহুল আমিন, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, মহানগর সভাপতি সফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, শেখ রাসেল দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সুইট, সদস্য সচিব অন্তর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভাগের আট জেলার বিজয়ী প্রতিযোগিতারা অংশ নেয়।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর