পাবনার সুজানগরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত সবুজ হোসেন মারা গেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা-সুজানগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা।

এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবুজ মারা যান। সোমবার রাতে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চলনা বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সবুজ গুরুতর আহত হন।

সবুজ ভায়না ইউনিয়নের চলনা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের ওমর ফারুকের সমর্থক।।

ওমর ফারুক বলেন, সোমবার রাতে আমার নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যাচেষ্টা করে। আহতদের মধ্যে সবুজ আজ মারা গেছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কিত আছি আমরা। 

নিহত সবুজের বাবা হাশেম আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার নিরাপরাধ ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিন শাস্তি চাই। আমার ছেলের অপরাধ শুধু বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে আনারস প্রতীকে ভোট করেছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমিন উদ্দিন ঢাকা পোস্টক বলেন, আমার সমর্থকরা চলনা বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গেলে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন হামলা চালিয়ে ৯টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। যে মারা গেছে সে আগে আমার সমর্থক ছিল। তাকে নিজেরা হত্যা করে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।

সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রাকিব হাসনাত/এসপি