পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘একাত্তর টিভি’র কার্ডধারী আপন ইসলাম মুন্না (২৪) নামে এক ভুয়া সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সাগরকান্দি ইউনিয়নের মাদারতলা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আটক ভুয়া সাংবাদিক আমিনপুর থানার রূপপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার ইউনিয়নের বরুলিয়া গ্রামের আব্দুল হালিমের বাড়িতে গিয়ে একাত্তর টিভির সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে মুন্না। দাবিকৃত টাকা না দিলে আব্দুল হালিম ও তার স্ত্রীকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে একাত্তর টিভিকে সংবাদ প্রচার করা হবে বলে জানান তিনি। 

বিষয়টি আব্দুল হালিম স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে কৌশলে ওই ভুয়া সাংবাদিককে তার বাড়িতে বুধবার বিকেলে আসার জন্য বলেন। এরপর মুন্না দাবিকৃত টাকা আনতে গেলে স্থানীয়রা তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তালিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রনি সাহা সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একাত্তর টিভির ভুয়া আইডি কার্ড, একটি সিল প্যাড ও কিছু ভুয়া ভিজিটিং কার্ড জব্দ করে পুলিশ। 

আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ভুয়া এক সাংবাদিককে আটক করেছে। তার কাছ থেকে কিছু জিনিষপত্র পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে একাত্তর টেলিভিশনের পাবনা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জেলায় কয়েকজন একাত্তর টিভির নামে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস, গ্রাম মহল্লায় চাদাঁবাজি করে আসছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে এ জেলায় নিয়োগ দেয়নি। আমার অন্য কোনো সহযোগীও নেই। ভুয়া কার্ড ব্যবহার করে মূলধারার সাংবাদিকতাকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে তারা। আটক ব্যক্তিসহ অন্য যারা ভুয়া কার্ড ব্যবহার করে সাংবাদিকতার নামে চাদাঁবাজি করে আসছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

রাকিব হাসনাত/এমএএস