পাটুরিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। ৩০ মিনিটের নৌপথ পার হওয়ার জন্য ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকেরা।
এদিকে ২৭ অক্টোবর পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞাপন
দুর্ঘটনার পর থেকে ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে। এখন পাটুরিয়ায় পাঁচটি ফেরিঘাটের মধ্যে মাত্র দুটি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। বাকি তিনটি ঘাটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ঘাট আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে।
এই নৌপথে যানবাহনের তুলনায় ফেরির সংখ্যা কম, তারওপর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনায় সংকট দিন দিন বাড়ছে বলে দাবি করছেন চালকরা।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ঘাট থেকে পাটুরিয়া-ঢাকা সড়কের ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। জিরো পয়েন্ট থেকে আরসিএল মোড় পর্যন্ত শতাধিক বাস এবং ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় শতাধিক ব্যক্তিগত ছোট গাড়িসহ ৭ শতাধিক যানবাহন নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
অপেক্ষায় থাকা একটি ট্রাকের চালক সালাউদ্দিন বলেন, দুই দিন অপেক্ষার পর বুধবার সন্ধ্যায় টিকিট পাইছি। আজ সকাল থেকে সিরিয়ালে আছি কিন্তু এখনো নদী পার হতে পারিনি। এভাবে সারা বছরই ঘাটে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
কাভার্ড ভ্যান চালক মুরাদ বলেন, গাড়ির তুলনায় ফেরির সংখ্যা কম, অন্যদিকে ফেরি-ডুবির ঘটনায় একটা ঘাট বন্ধ। সকাল থেকে সিরিয়ালে আছি। দিনের বেলায় ছোট গাড়ি আর বাসের চাপে আমরা পার হওয়ার সুযোগ কম পাই। আজসহ তিন দিন পাটুয়ারিতেই আটকে আছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া একটি ব্যস্ততম নৌপথ। আজ সকাল থেকেই ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস, ছোট গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।
সোহেল হোসেন/এমএসআর/জেএস