নাটোরের গুরুদাসপুরে পাওনা টাকা নিয়ে কাশেম আলী (৪২) নামে এক কৃষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কেনাল নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত কাশেম আলী নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের সাইদ আলীর ছেলে। অভিযুক্ত কেনাল পার্শ্ববর্তী এলাকা গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদেশ যাওয়ার জন্য কাশেম আলীর কাছে টাকা দিয়েছিলেন কেনাল। করোনার সময় বিদেশ না যেতে পেরে কাশেমের কাছ থেকে কিছু টাকা ফেরত নেন তিনি। বাকি ৮০ হাজার টাকা বকেয়া ছিল। সেই টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা কাশেম তাকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেনালের কাছে কাশেমের চেক রাখা ছিল। টাকা দেওয়ার সময় কেনালের কাছে চেক ফেরত চান কাশেম। চেক হারিয়ে গেছে বলে দাবি করেন কেনাল। এ কারণে টাকা দেননি কাশেম। সেই টাকার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। 

বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নাজিরপুর বাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন কাশেম। নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে পৌঁছালে তাকে কেনাল প্রথমে লোহার রড দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করেন। কাশেম রাস্তায় পরে গেলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করেন কেনাল। পরে কাশেমের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কাশেমের বড় ভাই হাসেম আলী বলেন, কাশেম দীর্ঘ সাত বছর ইরাকে ছিল। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে কৃষি কাজ করে সংসার চালায় সে। কাশেমের এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। কেনাল যে টাকা পাওনা ছিল কাশেম তা দিতে চেয়েছে। তারপরও কেনাল কাশেমকে নির্মমভাবে হত্যা করল। তিনি কেনালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন জানান, ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালোনো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীকে গ্রেফতার করা হবে। 

তাপস কুমার/আরএআর