মাষকলাই মূলত ডাল জাতীয় শস্য। এটি সাধারণত চরাঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে। মাষকলাইয়ে তেমন পরিচর্যারও দরকার হয় না। এক বিঘা জমিতে খরচ হয় মাত্র এক হাজার টাকা। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় কুড়িগ্রামের কৃষকরা মাষকলাই চাষে ঝুঁকছেন। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদরে মাষকলাই চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬০ হেক্টর জমিতে। তবে অর্জিত হয়েছে ৬৫ হেক্টর অথাৎ ৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি তৈরি না করেও মাষকলাই চাষ করা যায়। চাষ করার পর থেকে পরিপক্ব হতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই মাস। এক বিঘা জমিতে মাষকলাই উৎপাদন হবে ৪-৫ মণ। প্রতি মণ মাষকলাই বাজারে বিক্রি হয় ৩-৪ হাজার হাজার টাকা। মাষকলাই চাষে সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি ব্যয় হয় মাত্র এক হাজার টাকা।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় গ্রামের আজগার আলী বলেন, আমি পাঁচ বিঘা জমিতে মাষকলাই চাষ করছি। এতে খরচ নেই বললেই চলে। সব মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে খরচ হবে এক হাজার টাকার মতো। জমিতে শুধু বীজ ছিটিয়ে দিলেই হয়, কোনো পরিচর্যা করা লাগে না।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের রহমতুল্লাহ জানান, আমি প্রতি বছরই মাষকলাই চাষ করি। খরচ একেবারেই কম। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, মাষকলাই খুবই লাভজনক শস্য। চরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয় এ ফসল। চাষিরা ভালো লাভবান হচ্ছেন। জমি চাষ না করেও পরিত্যক্ত জমিতে মাষকলাই চাষ করা যায়। 

জুয়েল রানা/এসপি