নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে বিভিন্ন পদে অনুমতি ছাড়াই ভ্যানচালক, গার্মেন্টস কর্মী, অছাত্র ও বিবাহিতদের নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বড়াইগ্রাম পৌরসভার ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড কমিটি গঠনে এ ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) নবগঠিত কমিটির এমন ১৫ জন সদস্য বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব ৯টি ওয়ার্ড ছাত্রদলের প্রতিটিতে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন। পরে তারা কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন।

সেই কমিটিতে ১ নম্বর ওয়ার্ডে জুয়েল আহমেদ সভাপতি, রিদয় আহমেদ সম্পাদক, মাসুদ সরকার যুগ্ম সম্পাদক, অনিক সাংগঠনিক সম্পাদক, নাহিদ হাসান প্রচার সম্পাদক, নীরব সরকার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং হাবিল ও কাবিলকে সদস্য করে কমিটি অনুমোদন করা হয়। 

এ ছাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডে মাহফুজ, রাজু, তাকবীর, সাব্বির, নাইম ও সাজু এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নয়ন ইসলামকে কমিটিতে অন্তভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারা কেউই ছাত্রদল করে না। মতামত না নিয়েই কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এদের মধ্যে কাবিল আহমেদ ভ্যানচালক ও তার ভাই হাবিল ঢাকায় গার্মেন্টস কর্মী। তাদের ছেলে-মেয়েরা বর্তমানে স্কুলে লেখাপড়া করে।

অভিযোগকারী ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পদপ্রাপ্ত জুয়েল আহমেদ বলেন, আমিসহ অন্য সাতজন কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করিনি। কোনো দলের সদস্যও হইনি। কিন্তু আমাদের না জানিয়েই ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। আমরা এ কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

ভ্যানচালক কাবিল হোসেন (৩৬) বলেন, আমি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসার করছি। আমার ভাই হাবিল গার্মেন্টস কর্মী। আমরা রাজনীতি করি না। কিন্তু এখন শুনছি যে, আমাদেরও ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক মাসুম রেজা বলেন, তাদের ইচ্ছাতেই কমিটিতে নাম দেওয়া হয়েছিল। কারো চাপে তারা নাম প্রত্যাহারের জন্য বললে আমরা তাদের পদগুলো স্থগিত করেছি। এ ছাড়া বিবাহিত ও অছাত্ররা ভুলবশত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তাপস কুমার/আরআই