পটুয়াখালীতে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল বুধবার পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে, সব রোগীর সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীকে রেখে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা কোনো ওয়ার্ডও নেই। শুধু কাগজেকলমে রয়েছে ডেঙ্গু ওয়ার্ড।
 
এদিকে সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও রিপোর্ট সঠিক নয় বলে অসাধু চিকিৎসকরা তাদের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রেরণ করেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের।

রেহেনা নামের এক রোগীর স্বজন মো. রহমান জানান, সদর হাসপাতালের একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার পছন্দের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডেঙ্গু টেস্ট করিয়েছি। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর পরীক্ষা করাতে চাইলে ডা. বলেন সেখানের রিপোর্ট সঠিক না। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে চিকিৎসকের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালীর সাধারণ মানুষ লোভী ডাক্তার ও অস্বাভাবিক মুনাফালোভী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের থাবা থেকে বাঁচতে চায়। সরকারের উচিত দুর্নীতিবাজ ডা. ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। 

সদর রোড এলাকার বাসিন্দা জুই চৌধুরী বলেন, ১৬ অক্টোবর আমার ছেলের ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখি সেখানে কোনো ধরনের ডেঙ্গু ওয়ার্ড নেই। কমন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। তাই বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করিয়েছি।

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম শীপন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় ১৪১ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া পরিপূর্ণভাবে ১০২ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ১৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গুর জন্য আলাদা শয্যা, চিকিৎসক, নার্স ও ওষুধের মজুত রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে জেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএসআর