বিকাশের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন করে প্রতারণা
ফরিদপুরের মধুখালী থেকে বিকাশ প্রতারক দলের সদস্য সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা নিজেকে বিকাশের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন করে কৌশলে পিন কোড জেনে নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১১টি সিমকার্ডসহ আটটি মুঠোফোন জব্দ করা হয় ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. তরিকুল ইসলাম (২৭), মো. ফরহাদ (৩৩), মো. সোহাগ মল্লিক (২৫), তাপস মন্ডল (২৮), তপন মন্ডল (২৩) ও গোবিন্দ মন্ডল (২২)। সকলের বাড়ি মধুখালির ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন পূর্বপাড়া গ্রামে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৮ ফরিদপুরের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছয় ব্যক্তি বিকাশ প্রতারণা দলের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দুর্নীতিপরায়ণ মোবাইল সিম বিক্রেতার সঙ্গে যোগসাজস করে ভুয়া নামে রেজিস্ট্রেশন শেষে ব্যবহার করে। এরপর তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগণের কাছে নিজেকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশের পিন কোড জেনে নেয় এবং স্মার্টফোনে বিকাশ অ্যাপস্ ব্যবহার করে সাধারণ লোকজনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট হতে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
মধুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। তিনি বলেন, আসামিদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার(২৮ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করা হবে।
জহির হোসেন/এমএএস