নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় চুরি হওয়া সেই শিশু মরিয়মকে (২) সাত দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মুন্নি আক্তারকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার  চন্দ্রগঞ্জ থানার উছাখালী ইউনিয়ন থেকে চুরি হওয়া শিশুকে উদ্ধার করে চাটখিল থানা পুলিশ।

অভিযুক্ত মুন্নি চন্দ্রগঞ্জ থানার উছাখালী ইউনিয়নের ঝাউগঞ্জ এলাকা মুসফিকের মেয়ে। চুরি হওয়া শিশু লক্ষ্মীপুর জেলার নাহারখালী ইউনিয়নের ৭ নং চাঁদখালী গ্রামের রাকিবুল ইসলাম ও রোমানা বেগমের দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। এ ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চাটখিল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিশুটির বাবার অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ চুরি হওয়া শিশুকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত নারীকে গ্রেফতার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রেফতার নারীকে বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল হাসপাতাল-সংলগ্ন খুরশিদের বাড়িতে পাশের বাসার ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে বিবি মরিয়ম (২) নামের একটি শিশু চুরির অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চুরি হওয়া শিশুর বাবা লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা। তিনি চাটখিল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খুরশিদ মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করে আসছেন। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।

৭ দিন আগে এক নারী তার পাশের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন। মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রী পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সুযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারী তার শিশুকন্যাকে চুরি করে পালিয়ে যান।

হাসিব আল আমিন/এমএসআর