দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নোয়াখালীবাসী পাচ্ছে নতুন ট্রেন। এ ছাড়া আগের উপকূল ট্রেনটির সব বগি পরিবর্তন করে নতুন বগি স্থাপন করা হবে। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রেলপথ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আমার প্রস্তাবের ভিত্তিতে আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের সহযোগিতায় নোয়াখালীতে নতুন একটি ট্রেন অনুমোদন দেওয়া হয়।

আমি আশা করি আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন ট্রেন নোয়াখালীবাসী পাবে। এ ছাড়া বর্তমানে যে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলছে, খুব দ্রুত তার নতুন বগি স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে এ নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে এ-সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেন সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে নোয়াখালীবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-নোয়াখালী রেলপথে আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়। এরপর থেকে কয়েক বছর যাত্রীসেবা ভালো থাকলেও ১৯৯০ সালের পর থেকে শুরু হয় ভোগান্তি। নামে আন্তনগর এক্সপ্রেস হলেও নোয়াখালী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১৪ থেকে ১৫টি রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি হয়।

পথে ট্রেনের গতি কমিয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে উপকূল কখনোই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে না। অপরিষ্কার টয়লেট, ভাঙাচোরা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস।
 
হাসিব আল আমিন/এনএ