নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় কারাগারে থাকা তিন বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নোয়াখালী জেলা বিএনপি। 

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের বাসভবনের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
 
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, সারা জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর বাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে। সরকার চরম নির্লজ্জভাবে এ ঘটনাগুলোকে রাজনৈতিক হয়রানির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। চট্টগ্রামে কারাগারে থাকা তিনজন বিএনপি নেতাকেও আসামি করা হয়েছে। কল্পিত ভিডিও ফুটেজ এবং ফেসবুক পোস্ট ব্যবহার করে ঢালাও ভাবে নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এসব মামলায় বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক আবেদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার, হাতিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি কাজী আবদুর রহিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জেলা যুবদল সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রুস্তম আলী, সদস্য সচিব মহিউদ্দিন রাজু, যুগ্ম আহ্বায়ক খুরশেদ আলম, চৌমুহনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জায়ের আলম লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বাহার, হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফিন আলী, চৌমুহনী পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারেক আজিজ রনি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী, চৌমুহনী এসএ কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক টিআই সুজন, চৌমুহনী পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরমান আরাফাত, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা জাহেদ হোসেন সাহেদসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি বলেন, সরকার নাটক মঞ্চস্থ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টায় এই পরিকল্পিত ঘটনার অবতারণা করে। কেননা উক্ত ঘটনাকে পুঁজি করে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

গোলাম হায়দার বিএসসি আরও বলেন, ধর্মীয় সহিংসতা নিয়ে নোয়াখালীতে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। প্রত্যেকটি মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ঘটনার সময় অনেকে এলাকায় ছিলেন না। বেগমগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলুকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ন্যাক্কারজনক। আমরা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। 

সংবাদ সম্মেলনে শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্যাহ বাহার হিরন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

হাসিব আল আমিন/এমএএস