দাকোপে বেড়িবাঁধে ফাটল, হুমকিতে ৯ গ্রাম
খুলনার দাকোপের চালনা পৌরসভার খলিশা স্লুইচ গেটের দক্ষিণ পাশে পাউবোর ২৫০ মিটার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে বাঁধটি তিন ফুট ধসে যাওয়ায় পৌরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে পশুর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গোটা পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় জানায়, দাকোপের চালনা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড বড় খলিশা গ্রামে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে পাউবোর ২৫০ মিটার (সিসি ব্লক) বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল ও তিন ফুট ধসে গেছে। বাঁধটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে পৌরবাসী।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ করে চালনা পৌরসভার ৯টি গ্রামসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কয়েক হাজার বসতঘর বাড়ি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া একের পর এক নদীভাঙনের ফলে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছে ৩১ নং পোল্ডারের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
৩১ নং পোল্ডারের চালনা পৌরসভার গোড়কাঠি, খলিশাসহ পানখালী ইউনিয়নর খোনা, পানখালী ফেরিঘাটের পূর্ব পাশ, পানখালী জাবেরের খেয়াঘাট, লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথা, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া, ঝালবুনিয়া, কামিনী বাসিয়া গ্রামে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ বাঁধগুলো দ্রুত সংস্কার করা না হলে আবারও আইলার মতো মহাবিপর্যয়ের শিকার হতে পারেন স্থানীয়রা।
চালনা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শুভংকর রায় বলেন, খলিশা স্লুইচ গেটের দক্ষিণ পাশে কয়েকদিন আগে ৫০ মিটার এলাকায় ফাটল দেখা দেয়। পরে পাউবো কর্তৃপক্ষ সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু ঠিকাদাররা ওই স্থানে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি। আজ হঠাৎ বিশাল এলাকাজুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে।
চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস বলেন, শুক্রবার সকালে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বৃহস্পতিবার রাতে খলিশা গ্রামের স্লুইচ গেটের দক্ষিণ পাশে সিসি ব্লকে ভয়াবহ ফাটল দেখা দেয়। সেইসঙ্গে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট ধসে যায়। এ বাঁধের পাশ দিয়ে দ্রুত বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা না হলে পশুর নদীগর্ভে বাঁধটি বিলীন হয়ে গোটা পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, খলিশা গ্রামের বাঁধটিতে ভয়াবহ ফাটল দেখা গেছে। পাশাপাশি বাঁধের কিছু অংশ ধসে গেছে। বাঁধটি দ্রুত সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।
মোহাম্মদ মিলন/এসপি