কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে গান ও ১০ ঘণ্টা আড্ডা দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু, সাজ্জাদুর রহমান অনিক ও তার বন্ধু সাইফুল ইসলাম সাইফ।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর)  সকালে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান অনিক।

তিনি বলেন, আমরা তিনজন ১৯ অক্টোবর কক্সবাজারে ঘুরতে আসি। প্রথমে ইকবালকে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তারপর আমরা তার সাথে সখ্যতা তৈরি করি। এ সময় ইকবাল তাকে গান শোনাতে বলে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় কাটিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হই। তারপর বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর)  রাত ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। 

আরেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিশু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কৌশলে কয়েক দফা গল্প ও আড্ডা দিয়ে ইকবালের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করি। পরে তার কথায় সন্দেহ হলে মূল ঘটনা জিজ্ঞেস করি। সে আমাদের জানায় দুই সপ্তাহ আগে সে কক্সবাজার এসেছে। তারপর রাত ৮টার দিকে আমরা নিশ্চিত হই ইকবালই কুমিল্লার ঘটনার মূল অভিযুক্ত।

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

মুহিব ও হাসিব আল আমিন/এমএসআর