হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সাগর মিয়া (২৭) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট পাঁচজন নিহত হলো।
নিহত সাগরের বাবা মো. মোবারক হোসেন ও হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সাগরেরর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর খন্দকার বাড়ি এলাকায়। তিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক। তবে তারা সম্প্রতি হাজীগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
সাগরের বাবা মোবারক হোসেন জানান, গত ১৩ অক্টোবর রাতে তার ছেলে হাজীগঞ্জ বাজারে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আলীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।
সাগরের মা আমেনা বেগম বলেন, পাঁচ সন্তানের মধ্যে সাগর সবার ছোট। সাগর হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা সুমন মাঝির মেয়েকে বিয়ে করেন। তার এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে হাজীগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে স্থানীয় কিছু লোকজন বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের শ্রী শ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া পূজামণ্ডপ অতিক্রমকালে মিছিল থেকে কে বা কারা ইট-পাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশ প্রতিরোধের চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পূজামণ্ডপের গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করায় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত ও চারজন গুলিবিদ্ধসহ পুলিশের ১৭ জন সদস্য আহত হন।
শরীফুল ইসলাম/আরএআর