রোববার রাত ১২টা। হঠাৎ রাস্তার পাশ থেকে ভেসে আসে নবজাতকের কান্নার শব্দ। সেই শব্দ শুনতেই ছুটে যান গ্রামবাসী। পরে তারা কান্নার উৎস অনুসন্ধান করে রাস্তার পাশ থেকে কলাপাতায় মোড়ানো অবস্থায় একটি নবজাতক উদ্ধার করেন। উদ্ধার করা নবজাতক শিশুটি ছেলে।

রোববার (১৭ অক্টোবর) রাত ১২টার দি‌কে কি‌শোরগঞ্জ সদর উপ‌জেলার মাইজখাপন ইউনিয়‌নের বড়খাপন এলাকার রাস্তার পাশ থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহ‌যো‌গিতায় নবজাতকটিকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ‌নবজাতককে হাসপাতা‌লের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চি‌কিৎসা দেওয়া হ‌চ্ছে। সেখা‌নে হাসপাতা‌লের নার্স ও ওই এলাকার বড়খাপন গ্রা‌মের নিঃসন্তান এক নারী সেবাযত্ন কর‌ছেন। পিঁপড়ার কাম‌ড়ে শিশুটি কিছুটা আহত হ‌য়ে‌ছে। বাম পা‌য়ে সামান্য আঘা‌তের চিহ্নও আছে।

সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, বর্তমানে নবজাতকটি সুস্থ আছে।

তিনি আরও বলেন, রোববার রাত ১২টার পর নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়। নবজাতকের শরীরে ময়লা লে‌গে ছিল। হাসপাতা‌লের নবজাতক ওয়ার্ডের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে তার পরিচর্যা দেওয়া হ‌চ্ছে।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সি‌দ্দিক জানান, রাতে কি‌শোরগঞ্জ সদর উপ‌জেলার মাইজখাপন ইউ‌নিয়‌নের বড়খাপন এলাকা থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়। কে বা কারা নবজাতকটিকে সেখানে ফেলে গিয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক কামরুজ্জামান খান ঢাকা পোস্টকে জানান, তারা এ বিষয়ে সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে নবজাতকটিকে ঢাকার আজিমপুরে ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হবে।

এসকে রাসেল/এসপি