দানসিন্দুকে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক মিলল ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। সঙ্গে অনেক স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা। তিন মাস পর পর দানসিন্দুক খোলা হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার ৫ মাস ৪ দিন পর খোলা হয়েছে মসজিদের দানসিন্দুক।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দানসিন্দুক খোলা হয়। পরে দানসিন্দুক থেকে টাকাগুলো বস্তায় করে এনে শুরু হয় গণনার কাজ।

এবার সবচেয়ে বেশি ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। এ ছাড়া পাওয়া গেছে অনেক স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, উবায়দুর রহমান সাহেল, জুলহাস হোসেন সৌরভ ও মো. ইব্রাহীম, পাগলা মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

চলছে টাকা গণনার কাজ

এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ২২ আগস্ট দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া যায়। 

এবার ২ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা সিন্দুক থেকে পাওয়া দানের হিসাবে সর্বোচ্চ।

এদিকে পাগলা মসজিদে টাকা গণনার এই এলাহী কাণ্ড নিজ চোখে অবলোকন করতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ সেখানে ছুটে আসেন।

উল্লেখ্য, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য মসজিদটির দানসিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করে থাকেন এ মসজিদে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ বলেন, দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে।

এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি মসজিদটি ঘিরে চলছে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয় বলে জানান তিনি।

এমএসআর