হোটেলে নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, আদালতে প্রেমিকের দায় স্বীকার
হবিগঞ্জের বাহুবলে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী। এ ঘটনার পর পুলিশ প্রেমিকসহ দুইজনকে প্রেফতার করে।
শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহুবল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবির।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কিশোরী কন্যার সঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলার ববকান্দি গ্রামের হুদ খাঁর ছেলে জুয়েল খাঁ সঙ্গে ভুল নম্বরে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথাবার্তা চলতে থাকে। গত ৬ অক্টোবর বিকেলে প্রেমিক জুয়েল পানিউমদা থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা পাঠায় প্রেমিকার বাড়ির পাশে। এই সিএনজিতে করে ওই কিশোরী পানিউমদা যায়। সেখান থেকে বাসে করে তিনি সিলেট পৌঁছায়।
সিলেট কদমতলী থেকে প্রেমিক জুয়েল ও তার বন্ধু জুনেদ মিলে সিলেট শহরের তালতলা আবাসিক হোটেলের একটি রুমে নিয়ে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে।
পরদিন ৭ অক্টোবর সকালে তাকে (কিশোরী) বাসে উঠিয়ে দুপুরে নবীগঞ্জের পানিউমদায় নামিয়ে দিয়ে জুনেদ মিয়া সটকে পড়ে। এর পর জুয়েল মোবাইল ফোনে প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে প্রেমিকের প্রতারণা বুঝতে পেরে বিষয়টি স্বজনদের জানায়। কিশোরীর স্বজনরা বিষয়টি বাহুবল মডেল থানা পুলিশকে জানান। বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করে।
মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার বাহুবল থানার পুলিশ নবীগঞ্জের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে প্রেমিক জুয়েল খা ও তার বন্ধু একই উপজেলার বরগাও গ্রামের আহাম্মদ মিয়ার ছেলে জুনেদ মিয়াকে (২৬) গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি শেষে তাদেকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার বন্ধু ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, যে সিএনজি দিয়ে ভিকটিমকে আনা হয়েছে সেই সিএজিটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এমএএস