মা ইলিশের প্রজনন মৌসুমে কারণে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয় ও বিক্রিতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। মা ইলিশ রক্ষায় পটুয়াখালীর নদনদীতে যৌথ অভিযান শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ।

রোববার (৩ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাত থেকে জেলার সব উপজেলায় মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে প্রশাসন, পুলিশ, নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সহায়তায় যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। এদিকে বিশেষ প্রয়োজনে প্রস্তুত আছে নৌ ও বিমান বাহিনী।

রোববার দিবাগত রাতে পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে মির্জাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার তানজিমুল ইসলামের নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে অংশ নেয় কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জসিম উদ্দিনের দল।

কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জসিম উদ্দিন জানান, অবরোধ চলাকালীন সময়ে প্রকৃত কোনো জেলেরা মাছ শিকার করে না। কিছু অসাধু ও মৌসুমি জেলেরা এ সুযোগে নদীতে নামে। ২৪ ঘণ্টা বাই রোটেশনে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ টহল ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয় ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। রাত থেকেই অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন অভিযান চলবে। অভিযানে মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ ও বিমান বাহিনী অংশগ্রহণ করবে।

এই কর্মসূচি সফল করতে জেলার সব ইউনিয়নে সভা-সেমিনারের মাধ্যমে জেলেদের সচেতন করা হয়েছে। যাতে কেউ মাছ মজুদ করতে না পারে, সেজন্য বরফ কলগুলোকে বরফ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও জেলার প্রায় শতভাগ জেলেকে এই ২২ দিনের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/ওএফ