বরকে রেখেই পালাল বরযাত্রীরা
বাল্যবিবাহ বন্ধের অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উপস্থিতি টের পেয়ে বরকে ফেলেই পালিয়েছে বরযাত্রীরা। আর ১৮ বছরের আগেই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনের পিতাকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (৩ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাল্যবিবাহ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও ইউএনও মৌসুমী খানম।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে নয়ন হোসেনের (১৬) সঙ্গে লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের সাইকেল মিস্ত্রি রাজুর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা আজমিরা খাতুনের (১৪) বিয়ের আয়োজন চলছিল। বরযাত্রীর আগমনে সরগরম বিয়ে বাড়ি। রান্নাবান্নাও শেষের দিকে। এমন সময় গাড়ির শব্দ শুনেই বরকে রেখেই পালিয়ে যায় বরযাত্রীরা।
ইউএনও মৌসুমী খানমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে ভ্রাম্যামাণ আদালত কনের পিতা রাজুকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। উভয় পরিবারকে বিয়ে না দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়। বর নয়নকে বিয়ে না করার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য আতিয়ার জানান, রাজুর মেয়ে আজমিরা খাতুনের বিয়ে হচ্ছিল। এ সময় ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি এলাকায় মুখরোচক হয়ে উঠেছে।
কাথুলী ইউপির মহিলা সদস্য মোছা. সুফিয়া খাতুন বলেন, সরকারি নিষেধ অমান্য করে বাল্য বিয়ের অপরাধে কনের বাবার জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম বলেন, সরকারি আইন অমান্য করে বাল্য বিয়ে আয়োজনের অপরাধে কনের পিতাকে জরিমানা করা হয়েছে। উভয় পরিবারকে বিয়ে না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আকতারুজ্জামান/ওএফ