শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ

রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ জনের মধ্য জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করে এ রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

রিমান্ড শুনানি আগামীকাল ধার্য্য রেখে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার-৩ এর বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীম। রিমান্ড আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক চন্দন কুমার সরকার।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লা হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড শুনানি আগামীকাল হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থানকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় পরদিন রাতে উখিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার বাদী নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ।

১ অক্টোবর দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে মোহম্মদ সেলিম (৩৩) (প্রকাশ লম্বা সেলিম) নামে একজনকে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গ্রেফতার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে।

শনিবার (২ অক্টোবর) ভোর রাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম নামের আরও দুইজনকে গ্রেফতা করে ১৪ এপিবিএন।

একই দিন বিকেলে ক্যাম্প-৭ থেকে শওকত উল্লাহ (২৩) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম ও শওকতের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মুহিব/এমএসআর