যশোরে রিং আইডির ৭ কর্মকর্তার নামে অর্থ আত্মসাতের মামলা
যশোরে রিং আইডির সাত কর্মকর্তার বিরদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা করা হয়েছে। এতে আরও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন ঝিকরগাছা উপজেলার দিকদানা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের ছেলে শিমুল কুমার বিশ্বাস।
আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কালাইনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, একই এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে আইরিন ইসলাম, সিলেট সদর উপজেলার ওয়াপদা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সালাহ উদ্দিন, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে আহসান হাবিব, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের মনির উদ্দিন শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং হবিগঞ্জ জেলা শহরের ৪ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের সাজিদ মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন।
বিজ্ঞাপন
আসামিরা সবাই ঢাকার ধানমন্ডির ৭/এ রোডের সি/৫/এ নম্বর ফ্ল্যাটের ৭৮ নম্বর বাড়িতে রিং আইডির অফিসে চাকরি করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসমীম আলম জানান, রিং আইডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাত কর্মকর্তার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
মামলার বাদী শিমুল কুমার বিশ্বাসের অভিযোগ, চলতি বছরের ৫ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে যশোর শহরের আরবপুর বাজারে তোফাজ্জেলের চায়ের দোকানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় মোবাইলের স্ক্রিনে রফিকুল ইসলামের ১১৭৭৯০৪৪ নম্বর রিং আইডি থেকে পাঠানো নামে একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয় প্রতিদিন একশটি বিজ্ঞাপন দেখলে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আর একটা আইডি ক্রয় করতে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা করে লাগবে। ওই টাকা জমা দিলে ভার্চুয়াল সদস্য পদে একটি রিং আইডি ওয়ালেট পাওয়া যাবে।
এভাবে তিনি ১৬টি আইডি ক্রয় করেন। সেখানে বিজ্ঞাপন দেখে তার সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা হয়েছে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে এক বার ওই টাকা ওয়ালেট থেকে উত্তোলন করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ এ পর্যন্ত তার সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা হলেও সেই টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না। পরে রিং আইডি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছে এখন সমস্যা আছে পরে টাকা উত্তোলন করা যাবে। এখন পর্যন্ত কোনো টাকা উত্তোলন করতে না পেরে শিমুল কুমার থানায় মামলা করেছেন।
জাহিদ হাসান/আরএআর