নিহত মুহিবুল্লাহ

রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দুইজনের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। শনিবার (০২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রিমান্ড আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক চন্দন কুমার সরকার।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দুইজনের সাতদিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।। রোববার (০৩ অক্টোবর) রিমান্ড আবেদনের শুনানি হতে পারে। 

গ্রেফতাররা হলেন- মোহাম্মদ সলিম (৩৩) ও শওকত উল্লাহ (২৩)।

এর আগে শনিবার ভোররাতে তাদের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালংয়ের ক্যাম্প-৬ থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহ লম্বা সেলিম নামে একজনকে গ্রেফতার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করা হয়। যার বাদী নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ। যেখানে কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

এর আগে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে নিজ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের অফিসে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গাদের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত মুহিবুল্লাহ। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদ আসর উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ এ কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লম্বাশিয়ায় নিজ বাড়ি সংলগ্ন কবরস্থানে মুহিবুল্লাহকে দাফন করা হয়।

মুহিব/আরএআর