এবার মেঘনার এক ইলিশের দাম ৫৫০০ টাকা
ভোলার তজুমউদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের এক ইলিশ। মাছটি ঘাটে তুলতেই একনজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
জানা যায়, গতকাল দুপুরে তজুমউদ্দিনে মেঘনার তীরবর্তী শশীগঞ্জ স্লুইসগেট এলাকার জেলে আলমগীর মাঝির জালে ছোট ও মাঝারি আকারের ৫টি ইলিশের সঙ্গে ধরা পড়ে এই বড় ইলিশও।
বিজ্ঞাপন
পরে বিকেলে স্লুইসগেট এলাকার মাছঘাটে ফকরুল আলম জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের আড়তে মাছটি নিলামে তুললে ব্যবসায়ী কুট্টি বেপারি সর্বোচ্চ দামে ৫ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। এছাড়াও বাকি ৫ ইলিশ ৩ হাজার টাকায় ক্রয় করেন তিনি।
কুট্টি বেপারী বলেন, অভিযান শুরুর আগে এখন নদীতে মোটামুটি মাছ উঠছে। মৌসুমের শুরুর দিকে নদীতে বড় মাছের দেখা মেলেনি। সপ্তাহখানেক হলো নদীতে বড় ইলিশের দেখা মিলেছে। কয়েক দিনের মধ্যে এটাই ঘাটের সবচেয়ে বড় ইলিশ। মাছটি অধিক লাভে ঢাকায় বিক্রির জন্য অন্য মাছের মোকামে পাঠিয়েছি।
তজুমউদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন মিয়া জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। এখন সাগরের নোনাপানি থেকে ডিম ছাড়ার উদ্দেশ্য নদীর মিঠাপানিতে বড় ইলিশরা আসতে শুরু করেছে। এই বড় ইলিশ তার প্রমাণ।
এটা আমাদের সাগরের ৬৫ দিনের অভিযান সফল হওয়ার একটা লক্ষণ। আশা করি আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষার অভিযান সফল হলে এর চেয়েও বড় ইলিশ দেখা মিলবে জেলের জালে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে ভোলার মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ। ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ধনিয়া তুলাতুলি মাছঘাট এলাকার জেলে করিম মাঝির জালে মাছটি ধরা পড়ে।
পরদিন শনিবার সকালে ধনিয়া তুলাতুলি মাছঘাটে নান্নু চেয়ারম্যানের আড়তে মাছটি নিলামে তোলা হয়। মাছ ব্যবসায়ী আলামিন সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
এমএসআর