চিনিশিল্পকে লাভজনক করার কোনো বিকল্প নেই
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, চিনিশিল্পকে লাভজনক করার কোনো বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে আখের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে করণীয় সব কিছুই করতে হবে। মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাটোর চিনিকলের অতিথি ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শিল্প সচিব বলেন, চিনিকল এলাকাতে আখের উৎপাদন কমে গেছে। আখ মাড়াই কার্যক্রমে চিনি আহরণের হারও কমেছে। পাওয়ার ক্রাশারে আখ মাড়াই করে অবৈধ গুড় উৎপাদন কার্যক্রমও চলছে। সার্বিকভাবে উৎপাদন খরচ ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আখ মাড়াইয়ের পরিধি বৃদ্ধি করে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। এই লক্ষ্যে চিনিকলে কর্মরত ব্যক্তি, আখ উৎপাদনকারী কৃষক, প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
জাকিয়া সুলতানা বলেন, চিনিকল এলাকায় আখ উৎপাদনকারী কৃষকদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। তাদেরকে গুণগতমানের আখ উৎপাদনে সহযোগিতা করার পাশাপাশি চিনিকলে আখ সরবরাহ করার জন্যে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কোনোক্রমেই চিনিকল এলাকায় পাওয়ার ক্রাশারে আখ মাড়াই চলবে না। পাওয়ার ক্রাশারে অবৈধ আখ মাড়াই বন্ধে প্রশাসন ও পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা চিনি শিল্পকে লাভজনক অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই।
শিল্প সচিব আরও বলেন, চিনিকলগুলোকে লাভজনক অবস্থায় নিয়ে যেতে শিল্প মন্ত্রণালয় কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখন থেকে মন্ত্রণালয় নিবিড়ভাবে চিনিকলের কার্যক্রম তদারকি করবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সময়ে সময়ে চিনিকলে উপস্থিত হয়ে উদ্ভূত যে কোনো সমস্যার সমাধান এবং করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করে যাবেন।
নাটোর চিনিকলকে লাভজনক অবস্থায় নিতে চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আবু বকর সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে শিল্প সচিব নাটোরের নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে মতবিনিময় সভায় চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
তাপস কুমার/আরএআর