আওয়ামী লীগের প্রতি আমার ভক্তি নাই : কাদের মির্জা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি। অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম সেলিমকে আহ্বায়ক করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ৮৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটি ঘোষণার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন কাদের মির্জা। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হলো বানরের পিঠাভাগ। আমরা যে গুনগত পরিবর্তন চেয়েছি এখানে তা হয়নি। এই কমিটি হচ্ছে অপরাজনীতির চমক। আমি এই কমিটির আগেও নাই পাছেও নাই।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করে যাব। এমন করে জীবন শেষ করে দিব। এর বাহিরে আমার কিছু করার নাই। আওয়ামী লীগের প্রতি আমার ভক্তি নাই।
জানা গেছে, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ৮৭ সদস্যের এই আহ্বায়ক কমিটি কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও সহিদুল্লাহ খান সোহেল। ঘোষিত কমিটিতে সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে। একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী ও কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান বেগম কামরুন্নাহার শিউলীকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে। হাতিয়ার সংসদ সদস্য আয়েশা আলীর সঙ্গে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তার স্বামী ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীও। জেলার আওয়ামী লীগের দলীয় সব সংসদ সদস্যও কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। এমপি একরামুলের বড় ভাই হাজী ইব্রাহিম মিয়া ও ভাগিনা জহিরুল হক রায়হানকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি আগেই বলেছি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে জানিয়েছি আমি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির কোনো পদে থাকবো না। এমনকি এটাও বলেছি যদি কোনো পদে আমাকে রাখা হয় আমি সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করব। আমি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে থাকব না। আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে কাজ করব, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলব, আমি শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলব।
নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, দলের কেন্দ্রীয় যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি আমার আস্থা আছে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত।
তিনি আরও বলেন, এবার আমাদের দায়িত্ব হলো উপজলা কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করে একটি সুন্দর ও গ্রহণযাগ্য জেলা কমিটি উপহার দেওয়া।
হাসিব আল আমিন/আরএআর