আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ
সিলেটে পুলিশি হেফাজতে যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবুল মোমেনের আদালত এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে পলাতক আসামি কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
সিলেট মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এরপর পরবর্তী তারিখে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হবে। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হবে। তবে অভিযোগ গঠনের দিন এখনো ধার্য করেননি আদালত।
আদালতে দেওয়া পিআইবির অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন এসআই মো. আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও এএসআই আশেক এলাহী। আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন এএসআই আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির টুআইসি এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। নোমান ছাড়া বাকি আসামিরা কারাগারে আছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নগরের আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু আইনে হত্যা মামলা দায়ের করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তন্নী। এ হত্যকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় ১২ অক্টোবর এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পুলিশের চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
তুহিন আহমদ/এনএ/জেএস