যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটার অনুষ্ঠানে এসে মামুন হোসেন (২৬) ও ইমন (১৫) নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী ছুরিকাহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে শহরের গোহাটা রোডে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত দুজনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ছুরিকাহত মামুন যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও ইমন পুলেরহাট গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শহরের গাড়িখানার জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল চলছিল। দলীয় কার্যালয়ের নিচে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা প্লেকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকেন। অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎ কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ভিড়ের ভেতরে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

আহত ইমন বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। ওই সময় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে মারামারি হচ্ছিল। লোকজন ছোটাছুটি করছিল। আমি নিজেকে রক্ষা করতে দলের কার্যালয়ের সামনের রাস্তা পার হয়ে গোহাটা রোডে যেতেই কয়েক দুর্বৃত্ত এসে মামুন ও আমাকে ছুরি মারে। উপস্থিত লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, মামুনের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে ইমন এখন শঙ্কামুক্ত।
 
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যখন সবাই চলে যাচ্ছিল, দুর্বৃত্তরা আমাদের ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত, তা বলতে পারব না।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান চলছে। তবে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে কারা, কী নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়েছিল, তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কারা কী নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়েছে, বলতে পারব না।

জাহিদ হাসান/এনএ