পর্যটন মানুষকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিষয়ে সচেতন করে। পাশাপাশি অর্থনীতিতে পর্যটন বিশেষ অবদান রাখতে পারে। খুলনা জেলার পর্যটনের আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো সবার সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা দরকার।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।

সভায় জানানো হয়, করোনাকালে বিশ্ব পর্যটনের ৯৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। এতে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পর্যটনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হয়। পর্যটন খাত থেকে যুক্তরাষ্ট্র বছরে ২১১ মিলিয়ন ডলার ও ভারত বছরে ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করে। হংকং, ব্যাংকক, ম্যাকাও ও সিঙ্গাপুরের মতো অঞ্চলে জাতীয় আয়ের ৫ থেকে ৯ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে।

বাংলাদেশের সুন্দরবনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশি-বিদেশি মিলে মোট ২ লাখ ২২ হাজার ১৭ জন পর্যটক ভ্রমণ করেন এবং পর্যটকদের থেকে সরকার প্রায় ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার রাজস্ব অর্জন করে।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মোহাম্মদ মিলন/এনএ