ঢাকার নবাবগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে গাছে বেঁধে রুনা নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নিহতের বড় ভাই জহুর আলী বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মৃত্যুঞ্জয় কুমার চিত্তনিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, নিহত রুনার বড় ভাই জহুর আলী বাদী হয়ে জহুরা বেগম ও তার স্বামী হযরত আলীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে  জহুরা বেগম ও তার স্বামী হযরত আলী করোনার ভ্যাকসিন নিতে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় রুনা ও পপি নামে দুই নারী জহুরার গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সেখান থেকে ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই নারীকে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় জহুরা ও হযরত আলীসহ আরও বেশ কিছু লোক ওই দুই নারীকে কাঁঠাল গাছে বেঁধে পেটাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই রুনা মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত রুনার মরদেহ উদ্ধার এবং আহত অবস্থায় পপিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। গ্রামের অনেকের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। 

নিহত রুনা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামের মো. দুলালের স্ত্রী। তবে পপির স্বামী মো. নিজামের দাবি, পপি ও রুনা একই গ্রামের বাসিন্দা। 

আরআই/আরএআর