বিআরটিসির দুর্নীতি দমনে অনেক বড় বড় জায়গায় হাত দিয়েছি
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিআরটিসির দুর্নীতি দমন করতে আমি অনেক বড় বড় ও কঠিন জায়গায় হাত দিয়েছি। ধরে নিয়েছি দুর্নীতি রুখতে গিয়ে আমি হয়তো কাল এই স্থানে নাও থাকতে পারি। কিন্তু আমি কোনো কারণে পিছপা হবো না।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিআরটিসির বরিশাল ডিপোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিমকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তাজুল ইসলাম বলেন, বরিশাল ডিপোর কিছু অনিয়ম আমাদের কাছে অভিযোগ আকারে এসেছে। আমাদের সচিব মহোদয় গত সপ্তাহে বরিশাল ভিজিট করেছেন। তিনি আমাকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তার দিক-নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আমি বরিশাল এসেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারি পরিবহন কোম্পানিগুলো ফুলে-ফেঁপে উঠলেও সরকারি পরিবহন সংস্থার দূরবস্থার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া বরিশাল ডিপোতে একই ব্যক্তির নামে একাধিক বাস লিজ নিয়ে নামমাত্র ইজারা জমা দেওয়ার বিষয়েও তদন্ত চলছে। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আইনের আওতায় তাদের আসতেই হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আগে বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসের পর মাস বেতন বকেয়া থাকলেও এখন প্রয়োজনে সাবসিডি দিয়ে মাসের প্রথম দিকে বেতন দেওয়া হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাসের মধ্যে জনসেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিআরটিসিকে দাঁড় করাতে চেষ্টা করছি।
বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা জানেন বিআরটিসিতে আড়াই হাজারের অধিক জনবল সংকট। ২০০৬ সালের পর কোনো চালক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আমারা অনিয়মের অনুসন্ধান চালাচ্ছি। সব কিছু কাটিয়ে দ্রুত বরিশাল বিআরটিসিকে একটি নতুন রূপ দিব আমরা। বরিশাল বিআরটিসি আর পিছিয়ে পড়বে না। ইতোমধ্যে বরিশালে যে সব অনিয়ম হয়েছে তার জন্য যারা দায়ী তারা ছাড় পাবে না। বিআরটিসিকে আমি একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই। যেখানে খরচের চেয়ে আয় বেশি হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের পরিচালক (হিসাব) মো. আমজাদ হোসেন, বরিশাল ডিপোর ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ডিপোর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর