ফাইল ফটো

মুন্সিগঞ্জে দুবৃর্ত্তদের লাইটার জাহাজে হামলা, শ্রমিকদের মারধর ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে জোরপূর্বক মালামাল ছিনিয়ে নেওয়াসহ জাহাজ নোঙর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।‌

মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনার চরমুক্তারপুর এলাকায় দুবৃর্ত্তরা এনডিই রেডিমিক্স কংক্রিট লিমিটেডের ১৩টি লাইটার জাহাজ আটক করে জাহাজের ক্যাপ্টেন ও স্টাফদের মারধর করে। এ সময় দুবৃর্ত্তরা জাহাজের পেট্রল বোমা ছুড়ে মারে।

এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে এনডিই রেডিমিক্স কংক্রিট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) মোজাম্মেল হোসেন মুন্সিগঞ্জ সদরের মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদরের চরমুক্তারপুর এলাকার এনডিই রেডিমিক্স কংক্রিট লাইটার জাহাজে এ ঘটনা ঘটায় একদল দুবৃর্ত্ত।

জাহাজের শ্রমিকরা জানান, চট্টগ্রামের বর্হিনোঙর থেকে লাইটার জাহাজে করে পাথর নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আসার পথে মুন্সিগঞ্জের চরমুক্তারপুর এলাকার ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনায় শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের ৫০-৬০ জনের একদল শ্রমিক সশস্ত্র অবস্থায় ৭-৮টি ট্রলারে করে জাহাজের গতিরোধ করে। পরে জোরপূর্বক নদীতে নোঙর করে। এ সময় জাহাজের ক্যাপ্টেন ও স্টাফদের মারধর করে। জাহাজ বন্ধ রাখার হুমকি দেয়।

এনডিই রেডিমিক্স কংক্রিট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) মোজাম্মেল হোসেন জানান, এনডিই রেডিমিক্স জাতীয় পর্যায়ের একটি উন্নয়ন প্রকৌশল সংস্থা। এর নিজস্ব ৩৬টি লাইটার জাহাজ রয়েছে। এসব জাহাজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মালামাল গভীর সমুদ্রে থাকা মাদার ভেসেল থেকে পরিবহন করে থাকে। বিদেশ থেকে আমাদের নিজস্ব খরচে আমরা পাথর আমদানি করে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করে থাকি। আমাদের ৯টি নিজস্ব কারখানা আছে। আমরা চট্টগ্রাম থেকে পাথর নিয়ে ভোলা হয়ে রূপগঞ্জের মেইন ইয়ার্ডে পাথর আপলোড করে থাকি। কিন্তু একটি চক্র আমাদের দেশের উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্ত করছে।

শুক্রবার দিবাগত গভীররাতে চরমুক্তারপুরে আমাদের জাহাজগুলো আটক করে জাহাজের ক্যাপ্টেন ও স্টাফদের মারধর করে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়। জাহাজ শ্রমিকদের হুমকি এবং মারধর করে পেট্রল বোমা ছুড়ে। জাহাজে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তা নিভিয়ে ফেলা হয়।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম জানান, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। জাহাজ পণ্য পরিবহনের একটা নীতিমালা আছে। কিন্তু তারা তা মানেন না। অন্যকে দোষারোপ করে নিজেরা নীতিমালা মানছেন না।

এ ব্যাপারে মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রমিকদের সব ধরনের নিরাপত্ত দেয়া হবে।

ব.ম শামীম/এমএএস