এএসআই পেয়ারুলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না এলাকাবাসী
মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে রংপুরের হারাগাছ থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পেয়ারুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়িতে চলছে কান্না আর আহাজারি।
নিহত এএসআই পেয়ারুল ইসলাম চন্দ্রপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান মিন্টুর ছেলে। আব্দুর রহমান মিন্টু চন্দ্রপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় পেয়ারুল। তিনি পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলায় বিয়ে করেছেন। তার দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মন্তাজ উদ্দিন বলেন, নিহত পেয়ারুল ২০১১ সালে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হয়ে রংপুরের হারাগাছ থানায় কর্মরত ছিলেন। পেয়ারুলের মৃত্যুর খবরে আমাদের এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। সে খুবই ভালো ছেলে ছিল। তার স্ত্রী-সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকতো। সে মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতো। আমরা তার মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
বিন্দ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, নিহত পেয়ারুল ছেলে হিসেবে খুবই ভালো ছিল। শুনেছি এর আগেও দুষ্কৃতকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে তার দুটি কিডনির সমস্যা হয়েছিল। অনেক দিন চিকিৎসার পর সে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। তবে আজ খবর পেলাম যে গতকাল এক মাদকসেবীর ছুরিআঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে পেয়ারুল। তার মৃত্যুর খবরে আমার ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু সরকার বলেন, নিহত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি রাজারহাট উপজেলায়। ইতোমধ্যে রংপুর থেকে মরদেহ বহনকারী গাড়ি রওনা হয়েছে। আমিও ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে রওনা দিচ্ছি। বিস্তারিত পড়ে জানাতে পারব।
জুয়েল রানা/আরএআর