ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনে ডাকাতি ও দুজনকে হত্যার ঘটনায় রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মামুন রহমান। 

তিনি বলেন, ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত সাগরের মা হনুফা খাতুন বাদী হয়ে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ওসি মামুন রহমান আরও বলেন, বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পারব। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী মিতালী বাজার এলাকার ওয়াহিদের ছেলে নাহিদ মিয়া ও জামালপুর শহরের বাগেড়হাটা বটতলা এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে সাগর নিহত হয়।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক নামে এক ব্যক্তি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমরা ঢাকা থেকে কমিউটার ট্রেনের ছাদে জামালপুর ফিরছিলাম। ট্রেনটি ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার পর ছাদের যাত্রীদের অনেকেই ডাকাত দলের কবলে পড়েন। পাঁচ থেকে সাতজনের ডাকাতদলটি নাহিদসহ অনেক যাত্রীর কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন লুট করে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে চলে যায়।  

তিনি আরও বলেন, ট্রেনটি রাত পৌনে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বেশ কয়েকজন যাত্রী এক হয়ে ট্রেনের ছাদে ডাকাতদের খুঁজতে যান। তারা ডাকাতদের চিনতে পারলে কিছু বলার আগেই ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে নাহিদ, রুবেল ও সাগর গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকেন।

পরে রাত ১০টার দিকে ট্রেনটি জামালপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে গুরুতর আহত তিন যাত্রীকে ছাদ থেকে নামিয়ে চিকিৎসার জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় রেলওয়ে থানা পুলিশ। পরে তাদের মধ্যে নাহিদ ও সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। 

উবায়দুল হক/এসপি