নিকলী হাওরে নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানী ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর ভ্রমণে এসে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদীঘা গ্রাম সংলগ্ন ঘোড়াউত্রা নদীপাড়ের কেওড়া গাছতলা এলাকা থেকে নিখোঁজ পর্যটক রনির মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরিরা। এর আগে শুক্রবার বিকেলের দিকে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় দুই পর্যটক।
বিজ্ঞাপন
তারা হলেন- কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার কোয়ালবাজার গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে রনি মিয়া (২৩) ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মো. সাইদুরের ছেলে মো. আলমগীর মিয়া (২১)। তারা দুজনই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বসবাস করতেন এবং পিকআপভ্যান চালাতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে ৫৫-৬০ জনের দুটি পর্যটক দল নিকলী হাওরে আনন্দ ভ্রমণে আসেন। ট্রলারে করে হাওর ঘুরে শুক্রবার বিকেলের দিকে নিকলীর ঘোড়াদীঘা গ্রাম সংলগ্ন ঘোড়াউত্রা নদীর পাড়ে কেওড়া গাছতলায় অন্যদের সঙ্গে রনি ও আলমগীর গোসল করতে নামেন।
এ সময় অন্যরা গোসল করে পাড়ে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন রনি ও আলমগীর। খবর পেয়ে নিকলী থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তারা কিশোরগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে ডেকে নেয়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তাদের খোঁজ মেলেনি। শনিবার সকালে ফের ডুবুরি দল তাদের খোঁজে অভিযান চালায়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে রনির মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ রয়েছেন আলমগীর মিয়া।
নিকলী থানা পুলিশরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তাদের উদ্ধার করা যায়নি। পরে আজ সকাল ৮টায় ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বেলা পৌনে ১১টায় নিখোঁজ রনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আলমগীর মিয়াকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে নদীতে স্রোত বেশি থাকায় উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে।
এসকে রাসেল/এসপি