বিএনপি মিডিয়ার ওপর ভর করে অপরাজনীতি করছে : দীপু মনি
মিডিয়ার ওপর ভর করে মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীরা অপরাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, বিএনপির কিছু লোককে সারাদিন কয়েকটি মিডিয়াতে দেখা যায়। মানুষের সঙ্গে তারা নেই। এই করোনাকালে তাদের কাউকে মানুষের পাশে দেখিনি। আমাদের আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। কারণ তারা মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৪) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দীপু মনি আরও বলেন, তারা (বিএনপি) শুধুমাত্র মিডিয়ায় প্রতিদিন তাদের চেহারা দেখায়। তাদেরকে নিরপেক্ষতার নামে আওয়ামী লীগের প্রায় সমান সময় দেওয়া হয়। আর সেই সুযোগে সারাদিন মিথ্যাচার করে বেড়ায়। এটাকে রাজনীতি বলে না। এটা অপরাজনীতি হতে পারে। কারণ এর মধ্যে দেশসেবা বা মানবসেবার কোনো উপাদানই নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক সৌভাগ্যবান। কারণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আমরা কাজ করি। শেখ হাসিনার মতো একজন রাষ্ট্রনায়ক আছেন যিনি পথ দেখিয়ে আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের নেতাকে নিয়ে দেশে বিদেশে কোথাও কোনো প্রশ্ন নেই। যারা দুই একজন চিৎকার-চেঁচামেচি করে বেড়াচ্ছে তারা নিজেরাই বিতর্কিত, চরমভাবে দুর্নীতিবাজ একেকজন। কাজেই তাদের কথা পৃথিবীতে কেউই বিশ্বাস করে না।
বিএনপি মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার ওপরে এবং তিনি সেই বিশ্বাসযোগ্যতা, আস্থা ও ভালোবাসাকে নিয়ে এগিয়ে চলছেন। আর অন্যদিকে তারা (বিএনপি) আমাদেরকে প্রায়ই আন্দোলনের ভয় দেখায়। বলছে আন্দোলন করবে। কারা আন্দোলন করবে। কারণ তাদের তো কোনো জনসম্পৃক্ততা নেই। মানুষ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন। দলের সর্বোচ্চ নেতা এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে জেলখানায় ছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যার বদান্যতায় এখন তিনি নিজের বাসায় বন্দিজীবন যাপন করেছেন।
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হাতে গড়া আওয়ামী লীগ সরকার আজ দেশকে দুর্বার গতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ৯৬ এ বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে প্রথম মোবাইল ও ইন্টারনেট এনেছিলেন। করোনাকালীন শিক্ষাক্ষেত্রে ঘাটতি পূরণে এই ইন্টারনেট সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। ফলে সারা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আজ বাংলাদেশ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং।
ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
উবায়দুল হক/আরএআর