গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাপ্তাহিক ছুটিতে ঘরে ফেরা বিভিন্ন পেশার মানুষ।

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় মেয়র জাহাঙ্গীরের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের ওপর দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকা ও মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাত সাড়ে  ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও মহাসড়কে যানজট রয়েছে। 

রাজধানীর মহাখালী থেকে বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন শাহ্ আলম। তিনি জানান, বাসে ওঠার পর থেকেই ছোট ছোট যানজট ছিল। উত্তরার কাছাকাছি আসার পর থেকে তীব্র যানজটে পড়তে হয়েছে। একই জায়গায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে তাকে।

উত্তরা থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুরে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী শামসুজ্জামান মামুন। তিনি জানান, অবরোধের কারণে বোর্ড বাজার এলাকায় তাকে প্রায় চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

আরিফ হাসান নামে এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা উত্তরা থেকে নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। পরে যানজটে দেখে বাসায় ফিরে গেছেন তিনি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, টঙ্গী ব্রিজ থেকে শুরু করে বোর্ড বাজার পর্যন্ত গাড়ির প্রচুর চাপ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ক্রাইমের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে যানজট নিরসনে কাজ করছি। এছাড়াও কামারপাড়া থেকে টঙ্গী ও গাজীপুরাতেও অতিরিক্ত গাড়ির চাপ বেড়েছে। মীরের বাজার সড়কেও যানজটে রয়েছে।
 
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা) সাইফুল হক জানান, গাজীপুরে সৃষ্ট যানজট ঢাকার উত্তরায় ছাড়িয়ে পড়েছে। যানজটে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে পুলিশ কাজ করছে।

শিহাব খান/আরএআর