সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণাধীন খাদ্য অফিসের গুদামের একদিকের সীমানাপ্রাচীর হেলে গেছে। হেলে যাওয়া দেয়ালটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। হস্তান্তরের আগেই সীমানাপ্রাচীর হেলে যাওয়ায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণাধীন খাদ্যগুদামের কাজ প্রায় শেষের দিকে। গুদামের সীমানাপ্রাচীর ও অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। চারদিকের সীমানাপ্রাচীরের পশ্চিম দিকের দেয়াল সামান্য হেলে গেছে। কয়েক স্থানে ফাটল দেখা গেছে। একটু বৃষ্টি হলে ধসে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, খাদ্যগুদামের নির্মাণের কাজ পেয়েছে ‘নির্মাণ বিল্ডার্স’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় খাদ্যগুদাম নির্মাণের জন্য প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার বরাদ্দ পায়। পরে আবারও প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ানো হয়। সম্ভবত শান্তিগঞ্জ গুদামের জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার খাদ্যগুদাম নির্মাণ সম্পন্ন করার নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসেই। কিন্তু এখনো কিছু কাজ বাকি আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাণ বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. সরাফত বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা হাওরবেষ্টিত। এখানে ভূমির কাঠামো অন্য এলাকার মতো নয়। সীমানাপ্রাচীরের পশ্চিমের দেয়াল হেলে গেছে, এটা আমরাও দেখেছি। দেয়ালের বাইরের দিকে মাটি ভরাট করা হবে। দেয়ালের ভেতরের দিকে আরেকটি সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাদ সাইফুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, খাদ্যগুদাম নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো আমাদের কাছে গুদাম হস্তান্তর করেনি। সব নির্দেশনা দরপত্র মোতাবেক না পাওয়া পর্যন্ত আমরা তা বুঝে নেব না।

সাইদুর রহমান আসাদ/এনএ