বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচনের আগে বলেছিলেন নির্বা‌চিত হলে তারা সম্পদের হিসাব দেবেন। কিন্তু এমপিরা এখন জাতির কাছে সম্পদের হিসাব দিচ্ছেন না। অথচ ঢালাওভাবে সাংবাদিক নেতাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের চাপে রাখতে এমনটি করা হয়েছে। এটি ন‌জির‌বিহীন ঘটনা। পৃ‌থিবীর কোনো দে‌শে এভা‌বে সাংবা‌দিক নেতা‌দের সম্প‌দের হি‌সাব চে‌য়ে হয়রানি করতে আমরা দে‌খি‌নি।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ব‌রিশা‌ল সাইবার ট্রাইব্যুনা‌লে এক‌টি মামলায় হা‌জিরা দি‌য়ে জামিন লাভের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার দেশ‌কে লুটপাট কর‌তে ক্ষমতায় এসেছে। লুটপা‌টের খবর যেন ছ‌ড়ি‌য়ে পড়তে না পারে এজন্য পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের হয়রানি শুরু করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় দেশের সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণরূপে অধিকার হারিয়েছে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। ফরিদপুরের এক ছাত্রনেতা ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করল। তাদের হিসাব জানতে চায় না সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সা‌লের ২৮ ডি‌সেম্বর ভোলার লাল‌মোহন থানার বদরপুর ইউনিয়‌ন আওয়ামী লীগের সভাপ‌তি ও ইউপি চেয়ারম্যান ফ‌রিদুল হক বাদী হ‌য়ে মোট সাতজ‌নের নাম উল্লেখ ক‌রে মামলা ক‌রেন। মামলার বিবরণে তি‌নি উল্লেখ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি একই এলাকার মো. বাবুল হাওলাদা‌রের সঙ্গে মু‌ঠো‌ফো‌নে কথা ব‌লেন মেজর হা‌ফিজ। ওই ফোনালা‌পে আপ‌ত্তিকর কথাবার্তা ছি‌ল। যা দ্বারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডু‌লের চেষ্টা করা হয়ে‌ছে। বিষয়‌টি পরবর্তী‌তে গণমাধ্য‌মে প্রচার হয়। এ ঘটনার প্র‌তিকার চে‌য়ে ফ‌রিদুল হক প‌রে মামলা ক‌রেন।

মামলাটির বিচার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে চলছে। ওই মামলার জামিন শুনানিতে মঙ্গলবার বরিশালে হাজির হন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক জা‌মি‌নের আবেদন মঞ্জুর ক‌রেন ব‌লে জা‌নান হাফিজ উদ্দিন আহমেদের আইনজী‌বী কাজী এনা‌য়েত হো‌সেন।

‌এ বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা হয়েছে সবগুলোই মিথ্যা। ভোলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে মামলাটি হয়েছে সেই মামলাটি যখন নেওয়া হয় তখন আমি নিজেই গৃহবন্দী ছিলাম। মামলার ১৫ দিন আগে থে‌কে আমি বাসা থে‌কে বের হ‌তে পা‌রি‌নি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর