স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর থানায় গেলেন স্বামী
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় স্ত্রীর পরকীয়া জেনে যাওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাত করেছেন স্বামী জসিম উদ্দিন। আহত স্ত্রীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ফেরিঘাট রোডে একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার পর রক্তমাখা অবস্থায় স্বামী জসিম উদ্দিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হয়ে পুলিশকে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি জানান। পরে জসিম উদ্দিনকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মালেকের সঙ্গে আমার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। দুজনকে একাধিকবার সতর্ক করলেও তারা অবাধে মেলামেশা করে আসছিল। এরই জের ধরে সোমবার সকালে আমার স্ত্রীর পেটের মধ্যে ছুরি ঢোকাতে গেলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করি। আমি নিজেই সদর থানায় গিয়ে ঘটনা খুলে বলি।
অপরদিকে মালেক মুঠোফোনে এই প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বছর খানেক আগে বিচ্ছেদ হয় ফাহমিদার। পরে ১০দিন আগে ফাহমিদার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। তারপর থেকেই আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল জসিম উদ্দিন। সোমবার সকালে ঘরের দরজা খোলা থাকায় বাড়িতে ঢুকে আমার স্ত্রীর ওপর হামলা চালিয়েছে জসিম উদ্দিন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজিদ হাসান বলেন, ওই গৃহবধূর ডান হাতে ১৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার বাম হাতের শিরা কেটে হাড় বের হওয়ায় অস্ত্রোপচার করতে হবে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। জমিস উদ্দিনের হাতের পাতা কেটে গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি স্বামী জসিম উদ্দিন তার স্ত্রী ফাহমিদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেছে। ঘটনার পর রক্তমাখা অবস্থায় নিজেই থানায় এসে আমাদেরকে জখমের বিষয়টি জানায় জসিম উদ্দিন। সে নিজেও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। পরে পুলিশ তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রথামিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে এসেছে। আমরা স্বামী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
আফজালুল হক/এসপি