গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আরও ৪ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান। 

এই দিন করোনায় কারো প্রাণহানির তথ্য নেই। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জন করোনা উপসর্গে এবং একজন করোনা নেগেটিভ হয়েও মারা গেছেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে নওগাঁর ২ জন এবং ঝিনাইদহের ১ জনসহ ৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় জয়পুরহাটের আরেকজন মারা গেছেন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনা সংক্রমণে কারও মৃত্যু হয়নি।

এই এক দিনে ২ জন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। এ ছাড়া ৩ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় একজন পুরুষ এবং ৩ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এ ছাড়া ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন।

এদিকে ২৪০ শয্যার করোনা ইউনিটে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১৩০ জন। একদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১২৮।

বর্তমানে রাজশাহীর ৫৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২০ জন, নাটোরের ১৫ জন, নওগাঁর ১৬ জন, পাবনার ১৪ জন, কুষ্টিয়ার ২ জন এবং সিরাজগঞ্জের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৯ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৭৯ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ২২ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। এই একদিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৯ জন।

এর আগে শনিবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৭ জনের নমুনায়। 

একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ২৭৮জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং জয়পুরহাটের ১ দশমিক ১১ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে। 

প্রসঙ্গত, চলতি সেপ্টেম্বরের এই ১৯ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১১৬ জন। এর মধ্যে করোনায় ৩৮ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৬৯ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৮ জনের মৃত্যু হয়।

এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ