রিপন মিয়া

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৫২ দিন আগে স্বপন (৩৭) নামে এক চা দোকানির মরদেহ খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন এ ঘটনায় তার ছোট ভাই রিপন মিয়া (৩৫) বাদী হয়ে ভৈরব থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে পায় কিশোরগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

পিবিআইয়ের দেড় মাসের তদন্তে বেরিয়ে আসে স্বপন হত্যার আসল রহস্য। পিবিআইয়ের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে নিহতের ছোট ভাই এবং মামলার বাদী রিপন মিয়াই হত্যাকারী।

গতকাল শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কৌশলে রিপনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল হকের আদালতে তোলা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বড় ভাইকে খুনের কথা স্বীকার করেন। 

রিপন জানান, বড় ভাই স্বপন তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন। এছাড়া পারিবারিক বিরোধ ও সম্পত্তি দখল করতেই গত ২৬ জুলাই রাতে স্বপনকে হত্যা করেন। ঘটনার দিন রাতে তিনি তার ভাইকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি খালের কাছে নিয়ে যান। সেখানে ৪-৫ জনের সহায়তায় বড় ভাই স্বপনের মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেন। পরে তাকে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়।

খালে মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন ২৭ জুলাই রিপন বাদী হয়ে ভৈরব থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওইদিন পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. সাকুরুল হক খাঁন জানান, মামলার বাদী রিপন মিয়াই তার বড় ভাইকে হত্যা করেছেন। গতকাল শুক্রবার কৌশলে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ আদালতে তোলা হলে রিপন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

এসকে রাসেল/আরএআর