খুলনার লবণচরায় ইজিবাইক গ্যারেজ ম্যানেজার মো. শামীম হত্যার মামলার রহস্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে উন্মোচন, আসামিকে গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধারের স্বীকৃতি স্বরূপ ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। 

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের হেডকোয়ার্টার্সে পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন, লবণচরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমীর কুমার সরকার, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম, আসামি গ্রেফতারে সহায়তাকারী অফিসার এসআই সুকান্ত দাশ ও এসি অফিস (খুলনা জোন) এএসআই রবিউল ইসলাম।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, খুব দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় সোপর্দ করায় তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। আমাদের গাইড লাইন ও নির্দেশনা এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোনো ক্রাইম দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদঘাটন করা হচ্ছে পুলিশের কাজ। এ মামলার ক্ষেত্রে সর্বাংশে সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। যারা উদঘাটন করেছে তাদের ডেডিকেশন ছিল, তারা নিরলসভাবে কাজ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে। এ মামলায় দ্রুত বিচার এবং আসামিদের শাস্তি হবে সেই আশা করি।

লবণচরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমীর কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা ও সহায়তায় এবং আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। প্রকৃত আসামিকে আইনের আওতায় আনতে পেরে খুব ভালো লাগছে। নিহতের পরিবারও পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।  

পুরস্কার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কেএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এসএম ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর লবণচরা থানাধীন মোহাম্মাদনগর বাবলু সড়কে ইজিবাইকের গ্যারেজ থেকে শামীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় নিহত শামীমের বাবা মামলার বাদী মুজিবর মোড়লের এজাহারের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আসামি আরাফাত হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাদক কেনার ২০০ টাকা খরচ করে ফেলায় মা-বোন তুলে গালমন্দ করায় ইজিবাইকের গ্যারেজ ম্যানেজার শামীমকে হত্যা করে বলে জানায় আরাফত। 

গত বুধবার রাতে চার্জিং পয়েন্টে কেউ না থাকার সুযোগে শামীমকে হত্যা করা হয়। এছাড়া শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। 

মোহাম্মদ মিলন/এমএএস