খুলনায় ইজিবাইকের ম্যানেজার শামীম মোড়লকে (২০) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর লবণচরা থানাধীন মোহাম্মাদনগর বাবলু সড়কে ইজিবাইকের গ্যারেজ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শামীম নগরীর শান্তিনগর দারোগার ভিটার মুজিবর মোড়লের ছোট ছেলে।

লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমীর কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্যারেজের মালিক ও গাড়ির চালকসহ কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইজিবাইকের গ্যারেজ মালিক সোহেলের অধীনে গত দুবছর ধরে চাকরি করছেন শামীম। নতুন গ্যারেজের বয়স দুমাস। গত দুমাস ধরে বাবলু সড়কের এই ইজিবাইক চার্জিং পয়েন্ট ও মেসার্স আর আর এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছিল শামীম।

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এক চালক তার ইজিবাইক নিতে চার্জিং পয়েন্টে আসে। শামীমকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তার। এ সময় শামীমের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। এরপর গ্যারেজ মালিক ও নিহতের পিতাকে খবর দেওয়া হয়।

গ্যারেজ মালিক পুলিশকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য খবর দেয়। পুলিশ লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে থানায় প্রেরণ করে। নিহতের পিতা মো. মুজিবর মোড়ল এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে লবণচরা থানায় মামলা দায়ের করেন।

শামীমের বাবা মুজিবর মোড়ল জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কথা হয় ছেলের সাথে। ছেলে যে এভাবে খুন হবে তা কল্পনা করতে পারিনি। কারোর সাথে তার ছেলের দ্বন্দ্ব ছিল না। সহজ সরলভাবে জীবনযাপন করত সে। তবে খুনি যে হোক তার বিচার দাবি করেন তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, সকাল ৬টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে শামীমকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ সময়ে তার গলার হাড়টি ভেঙে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্যারেজ মালিক সোহেলসহ ১২ জন ড্রাইভারকে থানায় আনা হয়েছে।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর