ঝালকাঠিতে কুতুবনগর মাদরাসা রক্ষা প্রকল্পের কাজ

ঝালকাঠি শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কুতুবনগর মাদরাসা ও জামে মসজিদকে সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করতে ২০১৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ব্লক নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। পরে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে একই বছরের ২৭ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিলো। 

২ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের মেয়াদ ২ বারে বৃদ্ধি করে ২ বছরেও পুরো কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সম্প্রতি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল বারী।
 
কুতুবনগর মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, সুগন্ধা নদীর তীর ঘেঁষেই রয়েছে শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী কুতুবনগর জামে মসজিদ। মসজিদকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় ফজলুর রহমান মুন্সি ১৯৬৫ সালে ফোরকানিয়া (কুরআন শিক্ষা) মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদরাসাটি ১৯৮৭ সালে দাখিলে উন্নীত হয় এবং ২০০১ সালে আলিম শ্রেণিতে অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে ধর্মীয় শিক্ষায় অবদান রাখছে।

বর্তমানে সেখানে হাফিজি ও নুরানি বিভাগও চালু আছে। শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী এখানকার মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স শুরুতে ছিলো সুগন্ধা নদী থেকে ৩শ গজ উত্তরে। নদী ভাঙতে ভাঙতে চরম হুমকিতে পড়ে কুতুবনগর ইসলামি কমপ্লেক্স। ৩শ গজ দূরত্বের স্থানে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের একেবারেই কাছে নদীর ভাঙন চলে এসেছে।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ও ব্লক নির্মাণকাজের তত্ত্ববধায়ক সাজেদুল বারী বলেন, সুগন্ধা নদীর ভাঙনের কবল থেকে কুতুবনগর মসজিদ ও মাদরাসা রক্ষার্থে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রাক্কলন তৈরি ও বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

৯৮ লাখ ৮০ হাজার ১৬০ টাকা বরাদ্ধে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল নির্মাণকাজ শুরু হয়ে একই বছরের ২৭ জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আরও ২ বার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে নদীর ভাঙন থেকে মসজিদ ও মাদরাসা রক্ষার্থে কনক্রিট ব্লক ফেলে ৯৫% কাজ শেষ হয়েছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমএসআর