ছুড়ে মারা পাথরের আঘাতে চলন্ত ট্রেনের যাত্রী আহত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আবার চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারী যাত্রী মারাত্মক আহত হয়েছেন। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভৈরবের কালিকা প্রাসাদ এলাকায় এগারোসিন্দুর গোধূলি ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নারী মমতাজ মারোয়া (৫০) কুলিয়ারচর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার কুলিয়ারচর উপজেলা প্রতিনিধি মো. রফিক উদ্দিনের স্ত্রী।
আহত নারীর মেয়ে নুসরাত জাহান জানান, ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাবা-মাকে নিয়ে কুলিয়ারচর স্টেশন থেকে এগারোসিন্ধুর গোধূলি ট্রেনে উঠি। কালিকাপ্রসাদ এলাকায় যেতেই অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ট্রেনকে উদ্দেশ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে।
একটি পাথর জানালা দিয়ে এসে আমার মা মমতাজ মরোয়ার মাথায় আঘাত হানে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে তাকে ভৈরব রেলওয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নিয়ে এসেছি।
কুলিয়ারচর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যারা চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌউস আহমেদ জানান, এগারোসিন্দুর গোধূলি ট্রেনটিতে পাথর নিক্ষেপের ঘটনাটি আহত ব্যক্তির পরিবার থেকে আমাদের জানানো হয়নি। তবে আমরা লোকমুখে শুনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈররের লক্ষ্মীপুর লেভেলক্রসিং পার হওয়ার সময় এলোপাতাড়ি পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় জানালার কাচ ভেঙে সহকারী চালক কাউসার আহমেদের দুচোখ রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুটি চোখই মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। পরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিআরপি পুলিশ সন্দেহভাজন ১৫ শিশু-কিশোরকে আটক করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসকে রাসেল/এমএসআর/জেএস