আবার আমরা ক্লাস করতে পারব
অবশেষে প্রায় দেড় বছর পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। ইতোমধ্যে চাঁদপুরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। এতে উচ্ছ্বসিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি কলেজে দেখা গেছে, ধুলোমাখা বেঞ্চ, ব্লাকবোর্ড, ক্লাসরুমে ঝাড়পোঁছ করা হচ্ছে। চলছে পানি ছিটানো ও জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাঁদপুরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তারপর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুরোদমে চলে জোর প্রস্তুতি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম, মাস্ক পরার নিয়ম, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচারও টাঙানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অপেক্ষার প্রহর গুনছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠান খোলার কারণে একরকম উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে তাদের মাঝে। শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফ ও ইমতিয়াজ বলেন, আবার আমরা ক্লাস করতে পারব কলেজে এসে,, এটা ভেবে আনন্দ লাগছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না এলে পড়াশোনার প্রতি আগ্রম কম থাকে। কলেজে এসে দেখি পুরো কলেজে পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। নতুন রূপে ফিরেছে আমাদের কলেজ।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ বলেন, গত ৮ সেপ্টেস্বর থেকে আমাদের কলেজে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শেণির রাজু ভবনের ১২টি কক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি ফ্লরে ওয়াশব্লক ২টিসহ পানির ফিল্টার, হ্যান্ডওয়াশ, সেনিটািইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস পরিচালনার করার জন্য আমাদের সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। প্রতিদিন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ২টি করে ক্লাস প্রদান করার রুটিন প্রনয়ন করা হয়েছে।
শরীফুল ইসলাম/এনএ