মেহেদি লাগানোর পর হাতে ফোসকা, কোম্পানিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা
মানিকগঞ্জে জেলা শহরের তৃপ্তি প্লাজার ‘ভাই ভাই কসমেটিকস’ নামের একটি দোকান থেকে স্মার্ট কোন একটিভ মেহেদি কেনেন এক নারী। পরদিন তিনি এটি হাতে ব্যবহার করলে কিছুক্ষণ পর ফোসকা ফোটে। এতে ভুক্তভোগী ওই নারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পণ্যের মোড়কে উপাদান ও ব্যবহারবিধি উল্লেখ না করায় স্মার্ট একটিভ কোন মেহেদি উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠান তাসমিয়া কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ লিমিটেডকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল অভিযুক্ত ওই প্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট মানিকগঞ্জ জেলা শহরের তৃপ্তি প্লাজার ভাই ভাই কসমেটিকস দোকান থেকে স্মার্ট কোন একটিভ মেহেদি কেনেন অনন্যা আলম নামের এক নারী। পরদিন মেহেদি হাতে ব্যবহারের পর তার দুই হাত ফুলে ফোসকা পড়ে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা নিতে থাকেন।
গত ৩১ আগস্ট জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে ১ সেপ্টেম্বর স্মার্ট মেহেদির বিক্রেতা, পরিবেশকসহ অভিযোগকারীর উপস্থিতিতে প্রথম দফায় শুনানি হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় শুনানি শেষে স্মার্ট কোন একটিভ মেহেদির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাসমিয়া কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ লিমিটেডকে জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় দফা শুনানির জন্য স্মার্ট মেহেদির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাসমিয়া কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ লিমিটেডের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়। শুনানিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভুক্তভোগীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে রাজি হন।
তিনি আরও বলেন, দুই দফা শুনানি শেষে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে পণ্যের মোড়কে উপাদান ও ব্যবহারবিধি উল্লেখ না করার দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী অনন্যা আলম জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ স্যারের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। মেহেদি ব্যবহারের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং অব্যশই এর উপাদান ও ব্যবহারবিধি পড়ে ব্যবহার করতে হবে বলে জানান তিনি।
সোহেল হোসেন/এনএ